যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা জেনে নিন
সবাই আজকাল ভেষজ জিনিসের মধ্যে আছে. কারণ কৃত্রিম জিনিস আসলে শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। অনেক কিছুই নাগালের মধ্যে দৃশ্যমান কিন্তু ব্যবহারের নিয়ম না জানার কারণে অদৃশ্য থেকে যায়। তেমনই একটি প্রাকৃতিক জিনিস হল থানকুনি পাতা। এটি আপনার বয়স কমিয়ে দেবে।তারুণ্য ধরে রাখতে থানকুনি পাতার রস খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করলে মুখের সৌন্দর্য আসে। আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদের মতে থানকুনি পাতায় এমন ভেষজ গুণ রয়েছে যে নিয়মিত সেবন করলে পেটের অসুখ হয় না। শরীর সতেজ থাকে ছোটবেলা থেকে খেলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
এছাড়াও থানকুনি পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছেঃ
- শীত আসছে। আপনার ত্বক শুষ্ক মনে হবে। এ সময় মৃত কোষের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃত কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং ত্বককে মসৃণ করে।
- পেটের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই। নিয়মিত সেবনে পেটের যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পেটের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না।
- থানকুনি পাতা খেলে শুধু আমাশয় নয়, আলসার, একজিমা, হাঁপানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সেরে যায়। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
- নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- এটি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
- থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে এর জলে লাগালে পুরানো ক্ষত সেরে যায়। তাজা ক্ষতের উপর থানকুনি পাতা লাগালে ক্ষত সেরে যায়।
- থানকুনি পাতা চুল পড়া কমায়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
- বয়স বাড়ার সাথেও থানকুনি পাতার রস আপনাকে তরুণ রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করলে মুখের সৌন্দর্য আসে। আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।
থানকুনি পাতার ব্যবহার
থানকুনি পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা আয়ুর্বেদিক, চীনা, আফ্রিকান ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ট্রাইটারপিনয়েডস, ওলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোসাইডস, ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।
থানকুনি পাতার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ থানকুনি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃ থানকুনি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এটি ব্রণ, বলিরেখা, দাগ-ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়ঃ থানকুনি পাতা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, আলসার ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃ থানকুনি পাতা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি উদ্বেগ, অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ থানকুনি পাতার অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, শরীরের ব্যথা কমানো, ত্বকের ক্ষত সারানো, চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ইত্যাদি।
থানকুনি পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। এটিকে সরাসরি পাতা হিসেবে খেতে পারেন, রস করে খেতে পারেন, কিংবা চা হিসেবে তৈরি করে খেতে পারেন।
থানকুনি পাতার রস তৈরির জন্য এক মুঠো থানকুনি পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডারে পাতাগুলো দিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা রস একটি পাত্রে চেঁকে নিন। ঠান্ডা করে পান করুন।
থানকুনি পাতার চা তৈরির জন্য এক মুঠো থানকুনি পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে থানকুনি পাতা দিয়ে ঢেকে দিন। 5-7 মিনিট পর চা ছেঁকে নিন। চায়ের সাথে মধু বা চিনি মিশিয়ে পান করুন।
থানকুনি পাতা সাধারণত নিরাপদ। তবে গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের থানকুনি পাতা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যদি আমাদের পোস্টটি পরে আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বন্ধুর মাঝে শেয়ার। এমন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। তো আজকে এ পর্যন্ত আবার ও দেখা হচ্ছে কোনো আর্টিকেল এর সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url