নাকের পলিপাস থেকে মুক্তি মিলে তিন উপায়ে জেনে নিন বিস্তারিত

নাকের এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। সর্দি, কাশি বা অ্যালার্জির কারণে দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা না করা হলে পলিপ হতে পারে। পলিপ প্রধানত দুই প্রকার- ইটের প্রাচীর এবং ম্যাক্সিলারি এন্ট্রোচ্যানাল পলিপ। প্রথমটি নাকের উপরের সেতু হিসাবে কাজ করে। অনেক কোষের সমন্বয়ে গঠিত একটি ঝিল্লি। কোষের দেয়াল পাতলা হওয়ায় পানি ধরে রাখার কারণে ফুলে যায়। ফলে নাক প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই পলিপ হওয়ার জন্য মূলত অ্যালার্জি দায়ী।

নাকের পলিপাস থেকে মুক্তি মিলে তিন উপায়ে জেনে নিন বিস্তারিত

অন্যদিকে, সেকেন্ডারি পলিপগুলি অ্যালার্জির অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে হয়। এন্ট্রোকোনাল পলিপ সাধারণত নাকের পিছনে এবং তারপর গলায় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সম্পূর্ণ নাক বন্ধ হয়ে যায়। এই পলিপগুলি বৃদ্ধির সাথে সাথে, কখনও কখনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। তবে নাকের পলিপাস প্রাথমিকভাবে ধরা পড়লে ঘরে বসেই তিনভাবে সমাধান করতে পারেন। খুঁজে দেখ কিভাবে।

সূচিপত্র

হলুদ

হলুদ রঙের এই মসলা পলিপের সমস্যা দূর করতে পারে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হলুদ অ্যালার্জির সমস্যার সমাধান করতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ যক্ষ্মা কীভাবে ছড়ায় ও এর লক্ষণ কী কী? জেনে নিন বিস্তারিত

এজন্য প্রতিদিনের খাবারে এক থেকে দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এছাড়া হলুদ চা পান করতে পারেন। এছাড়াও জলে হলুদ গুঁড়ো কিছুক্ষণ ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে পান করুন।

রসুন

এই সামান্য উপাদানটির রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। গবেষণায় দেখা গেছে রসুন পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। নাকের পলিপের সমস্যায় এটি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। রান্নায় রসুন ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিন কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস করুন। হালকা গরম পানিতে রসুনের গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে পারেন।

আদা

রসুনের মতো আদার মধ্যেও রয়েছে সমস্ত উপকারী উপাদান। 'SA 2013'-এর সমীক্ষা অনুসারে, নির্যাসটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নাকের পলিপের সমস্যা সমাধানে রান্নায় নিয়মিত আদার গুঁড়ো ব্যবহার করুন। এছাড়াও প্রতিদিন আদা চা পান করুন।

নাকের পলিপাসের জন্য কোন স্প্রে ভালো?

নাকের পলিপাস (nasal polyps) হলে কোন স্প্রে বা ঔষধের ব্যবহারে আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উত্তম। ডাক্তার আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় সহায়ক প্রস্তুতি দিতে পারেন।

কিছু সাধারিত ধারণা রয়েছে যা নিজে চেষ্টা করতে পারেন:

স্যালিন স্প্রে:

স্যালিন নামক মিশ্রিত জল এবং প্রকাশ্যে স্যালিন স্প্রে ব্যবহার করা হতে পারে। এটি নাকের পাথরবিশেষ এবং সামান্য অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

ন্যাসাল কর্টিকোস্টিয়ড স্প্রে:

ন্যাসাল কর্টিকোস্টিয়ড স্প্রে ব্যবহার করা হতে পারে এমন ঔষধের একটি শ্রেণি আছে যা নাকের পলিপাসের সাথে যুক্ত সময়ে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

আপনির ডাক্তার আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারেন।

নাকে স্প্রে করা কি ক্ষতিকর?

নাকে স্প্রে করা সাধারিতভাবে অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে না, বরং কিছু ক্ষেত্রে এটি হাসপাতালের নাক এবং গলা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের অংশ হতে পারে। ন্যাসাল স্প্রে বা নাকে স্প্রের ব্যবহারে কিছু মৌখিক বা নাকের অসুস্থতা প্রবৃদ্ধি হতে পারে, তবে এটি একটি সাধারিত এবং প্রস্তুতি করা উচিত ধারণা হতে পারে।

কিছু উপস্থাপনার মধ্যে স্যালিন বা ন্যাসাল স্প্রের ব্যবহারের মাধ্যমে হতে পারে এমন কিছু সম্ভাব্য সাইড ইফেক্ট বা জনগণের মধ্যে অসুস্থতা:

ত্বক ত্রুটি:

কিছু মানুষ হতে পারে এমন যারা ন্যাসাল স্প্রের ব্যবহারের পরে ত্বকের ত্রুটি অনুভব করতে পারে। এটি সামান্য চোখের দুটি পালক এবং মুখে হতে পারে।

নাকে ক্ষতি:

কিছু মানুষ ন্যাসাল স্প্রে ব্যবহারের পরে নাকের ক্ষতি অনুভব করতে পারে, যেমন নাকের সুস্থ তাক এবং কাণ্ডের অসুস্থতা।

আরো পড়ুনঃ অনিয়মিত মাসিক কেন হয় জেনে নিন বিস্তারিত

শোক ও মিডিশন:

কিছু মানুষের মধ্যে ন্যাসাল স্প্রের ব্যবহারের পরে শোক এবং মিডিশনের অসুস্থতা হতে পারে।

এই সাইড ইফেক্টগুলি সামান্য এবং সাধারিতভাবে সামান্য সময়ে পারিস্থিতিকে সহ্য করা হয়। তবে, আপনি এই প্রস্তুতিগুলি ব্যবহার করতে হলে আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

নাকের পলিপাস এর লক্ষণ

নাকের পলিপাসের লক্ষণগুলি ব্যক্তি থেকে থেকে পরিবর্তিত হতে পারে, এবং এগুলি সাধারিতভাবে একটি বা একাধিক পলিপাসের উপস্থিতিতে দেখা যেতে পারে। এটি হতে পারে:

নাকে বন্ধ হওয়া

এটি একটি সাধারিত লক্ষণ, যা নাকে পলিপাসের কারণে নাকের গাড়িগুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্বে কমোটির এবং দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যা

নাকে পলিপাস থাকলে সাধারিতভাবে সাস্থ্যগত সমস্যার সাথে যোগাযোগ হতে পারে, যেমন মাথা ব্যথা, প্রস্রাব বা সিনাস এর সমস্যা।

নাকে দুর্গন্ধ

কিছু ব্যক্তিত্বে নাকে পলিপাস থাকলে তাদের নাক দুর্গন্ধ অনুভব করতে পারে, যা কখনও একটি স্থায়ী অবস্থা হতে পারে।

নাকে মুক্তভাবে সঞ্চালন

পলিপাস নাকে ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট বা হৃদয়ের দৌড় বা অন্যান্য শারীরিক ক্ষতি করতে পারে এবং এটি সম্ভাবনা যে, একজন ব্যক্তি নাকে নিজে সঞ্চালন করতে সময়মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

নাক বা গলা দিয়ে মুক্তভাবে পানি বা আসুতে পানির উৎসাহ:

কিছু ব্যক্তিত্বে নাকে পলিপাস থাকলে তাদের নাক বা গলা দিয়ে মুক্তভাবে পানি বা আসুতে পানির উৎসাহ হতে পারে।

এই লক্ষণগুলি মন্ত্রিত হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলি বা ব্যক্তিত্বের বিশেষজ্ঞ এবং হাসপাতালে একটি ভিজিটে প্রতিপন্ন হওয়া উচিত।

শেষ কথা 

বন্ধুরা আজকে আমরা নাকের পলিপাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তো আপনি যদি নাকের পলিপাস থেকে মুক্তি মেলার তিনটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং যদি আপনার উপকার হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url