অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি - ওজু ভঙ্গের কারণ কি কি?

নামাজ জান্নাতের চাবিকাঠি। আর এই নামায আদায় করার জন্য সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা আবশ্যক। আমরা নামাজ পড়ার আগে নিজেদেরকে পবিত্র করার জন্য ওযু করি। মূলত, নামাজ যেমন জান্নাতের চাবিকাঠি, তেমনি অজু নামাজের চাবিকাঠি।

অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি - ওজু ভঙ্গের কারণ কি কি?

অজু করার মাধ্যমে আমরা যেকোনো ইবাদতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করি। আর বিভিন্ন কারণে অযু ভেঙ্গে যায়। অযু ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে কুরআন-হাদিসে কি বলা আছে আমরা কি সত্যিই জানি?

অযু ভঙ্গের মূল কারণগুলো আমরা অনেকেই জানি না। আর অযু ভঙ্গের মূল কারণগুলো না জেনে আমরা যদি নিজের অজান্তেই অযু ভঙ্গ করি তাহলে আমাদের ইবাদত কবুল হবে না।

তাই আজকের প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা অযু ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসের বাণীও জানব। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অযু ভঙ্গের কারণগুলো। ভাঙ্গনের কারণ কয়টি এবং কী কী তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সংক্ষেপে ক্রমানুসারে উল্লেখ করা হলো।

অজু ভঙ্গের মূলত ৭টি কারণ 

1.পায়খানা এবং মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে কিছু পাস করা

যেমন বাতাস, প্রস্রাব, পোকামাকড় ইত্যাদি (হেদায়া, হাদীস : ১/৭)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "যদি তোমাদের কেউ প্রস্রাব করে (নামাযের জন্য নিজেকে পবিত্র করে)।" (সূরা মায়েদা, আয়াত ০৬)

আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, "শরীর থেকে যা বের হয়, তা অযু ভেঙ্গে দেয়..." (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদিস : ৫৬৮)

2.রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)-এর নাক দিয়ে রক্ত পড়লে তিনি ফিরে যেতেন এবং অযু করতেন। (মুআত্তা মালিক, হাদিস : ১১০)

3.মুখ ভরে বমি করা

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বমি করে, বা নাক থেকে রক্ত পড়ে, অথবা মুজি (সাদা পানি যা সহবাসের পূর্বে নির্গত হয়) নিঃসৃত হয়, সে যেন ফিরে যায় এবং অজু করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: 1221)

4.থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া

হাসান বসরী রহ. তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখতে পায়, তাহলে থুথুতে রক্ত ভারী না হলে তার উপর অযু করা জরুরী নয়। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: 1330)

5.চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'সিজদায় ঘুমালে অযু ভেঙ্গে যায় না, কিন্তু পিঠের উপর শুয়ে থাকলে তা ভেঙ্গে যায়, কেননা পিঠে বা পিঠের ওপর শুয়ে থাকলে শরীর শিথিল হয়ে যায়। ' : 2315; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২০২)

6.পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে

হাম্মাদ (রাঃ) বলেন, পাগল ব্যক্তি সুস্থ হয়ে গেলে তাকে সালাতের জন্য উযূ করতে হবে। (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদীস : ৪৯৩)

7.নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে

ইমরান ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাযের সময় উচ্চস্বরে হাসবে, সে আবার ওযু ও সালাত আদায় করবে। হাসান বিন কুতাইবা (রহঃ) বলেন, যখন কোন ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসে, তখন সে ব্যক্তি আবার ওযু ও সালাত আদায় করবে। (সুনানে দারা কুতনী, হাদিস : ৬১২)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url