মায়ের মুখের ভাষা জেনে নিন বিস্তারিত

 প্রতিটি জাতির নিজস্ব ভাষা আছে। মাতৃভাষা মায়ের মুখের ভাষা। বাংলাদেশীদের মাতৃভাষা বাংলা, যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত একটি ভাষা। মানুষ তাদের মাতৃভাষায় যোগাযোগ করে।

জন্মের পর, যখন শিশুর মুখে ভাষা ফুটে ওঠে, তখন শিশু শব্দ খুঁজতে থাকে। একজন অভিভাবক হিসেবে, এই সময়ে আপনার দায়িত্ব আপনার সন্তানকে ভাষা শেখানো। তবে তা হতে হবে আঞ্চলিক মাতৃভাষা এবং স্পষ্ট ও সাবলীল ভাষা। আর এক্ষেত্রে পরিবারই শিশুর প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কারণ শিশুর সামাজিক শিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু হয়।

মায়ের মুখের ভাষা জেনে নিন বিস্তারিত

শিশুরা অনুকরণ পছন্দ করে। শিশুরা সবসময় বড়দের অনুকরণ করে। শিশুরা সবসময় হাসে এবং বিশেষ করে তাদের পিতামাতার সাথে খেলা করে। সন্তানের সাথে সময় কাটানোর সময় অভিভাবকদের অবশ্যই সন্তানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। শিশুর সাথে বেশি কথা বলে ভাষা সহজে শেখানো যায়।

মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। কর্মজীবী নারীরা শিশুদের যত্ন নেওয়ার বা পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার সুযোগ খুব কমই পান। তবে অভিভাবকদের সময় দিতে হবে। বাচ্চার সাথে খেলুন।

শিশু বুঝুক বা না বুঝুক, আপনাকে তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলতে হবে। অভিভাবকদের উচিত যতটা সম্ভব তাদের সন্তানদের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানোর চেষ্টা করা। শিশু যেন হীনমন্যতায় ভোগে না বা অসহায় বোধ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শিশু যদি অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কথা বলতে চায়, তাহলে তাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ যোগ করে কথা বলতে উৎসাহিত করুন এবং অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অর্থবোধক। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিশুটি বিদায় জানাতে তার হাত বাড়ায়, তখন আপনি 'বাই বাই' বা 'টা টা' বলেন। শিশুকে অঙ্গভঙ্গির সাথে সাথে প্রতিটি মুহুর্তে মুখ দিয়ে অঙ্গভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ করার চেষ্টা করুন।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে শিশুরা বাড়িতে যে ভাষায় কথা বলে তা দ্রুত এবং ভালোভাবে শেখে।

শিশু শিক্ষা গবেষক পি শ্রী নায়ার, 'শিক্ষাগত অর্জনের উপর শিক্ষার মাধ্যমের প্রভাব' নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে ইংরেজি যদি শিক্ষার মাধ্যম হয় তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্তর নিম্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এটি দরিদ্র শ্রেণীর শিশুদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। কারণ তারা ইংরেজি শেখার জন্য পরিবারের কাছ থেকে খুব কমই সমর্থন পায়।

এ ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদের পরামর্শ, 'শিশুদের বয়স উপযোগী শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের গল্পের বই কিনুন। তাদের জন্য গল্পের বই বেছে নিন যেগুলো খুব বেশি লম্বা নয়, তিন থেকে পাঁচ শব্দের বাক্য।

এতে শিশুরা বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং শুদ্ধ বাংলা শব্দ শিখবে। শুধু বই কেনা নয়। অভিভাবকদেরও ঘরে বসে বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত। পরিবারের সদস্যদের বই পড়তে দেখলে শিশুরা বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url