স্ত্রীকে খুশি রাখার ৬ উপায় জেনে নিন
বিয়ের পর দুজন মানুষ আসে পাশে। তারা একসাথে থাকার সামাজিক লাইসেন্স পায়। তখন স্ত্রীকে খুশি রাখার দায়িত্ব স্বামীর ওপর বর্তায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকাল বেশিরভাগ দম্পতিই বিয়ের আগে একে অপরকে চেনেন এবং জানেন। তাদের মধ্যে প্রেম তৈরি হয়। কিছুক্ষণ একসঙ্গে চলার পর বিয়েটা এসে গেল।
তবে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ সম্পর্কে ভুলবেন না। এই বিয়ের মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে পছন্দ করে এবং একে অপরকে বিয়ে করে। এক্ষেত্রে দুজনের পাশাপাশি দুই পরিবারের বিয়ে হয়। তবে এক্ষেত্রে দুজনের একে অপরকে জানার সুযোগ খুবই কম। এক্ষেত্রে নারীরা নতুন পরিবারে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন।
এ সময় স্বামী নতুন স্ত্রীর সঙ্গে না থাকলে স্ত্রীর মন ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থায় বিয়ের পর পাত্রীর যত্ন নিতে প্রত্যেক স্বামীকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারেন।
তবে শুধু নতুন বলেই এই কাজগুলো করার দরকার নেই, পারিবারিক জীবনে স্ত্রীকে খুশি রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এতে স্ত্রী সুখী হবে এবং পরিবারও সুখী হবে। জান কি করতে হবে-
সময় পেলে আপনার স্ত্রীর পরিবারের প্রশংসা করুন। আপনার কোন কথা শুনে স্ত্রীর যেন কষ্ট না হয়। তাকে ভাবতে দেবেন না যে আপনি তার পরিবারকে পছন্দ করেন না।
তার মুখ থেকে স্ত্রীর পরিবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন পারিবারিক গল্প শুনতে চাইলে দেখবেন আপনার স্ত্রীর মন ভালো হয়ে যাবে।
আপনার স্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দিন বা উৎসবে নয়, সময় পেলেও তাকে উপহার দিন। খুব বেশি দামি নয়, তবে ছোট ছোট কিছু উপহার দিয়ে স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারেন।
তবে নিশ্চিত করুন যে উপহারটি আপনার ভালবাসা দেখায়। তবেই আপনি উপহার দেওয়ার মূল্য খুঁজে পাবেন। আর স্ত্রী খুশি হবে।
সব সমস্যায় স্ত্রীর পাশে থাকুন। তোমার বউ বিয়ের পর নতুন সংসারে এসেছে। আর নতুন পরিবারের সবাই তার কাছে অপরিচিত।
আপনার পরিবারের সামনে আপনার স্ত্রীর প্রশংসা করুন, তাকে সবার সাথে ভালভাবে পরিচয় করিয়ে দিন। পরিবারের পছন্দ-অপছন্দের কথা আপনার স্ত্রীকে আগে থেকে জানানোও আপনার দায়িত্ব।
সময় পেলেই স্ত্রীর সাথে বাইরে যান। অনেক মহিলা তাদের সঙ্গীদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন। দুজনেই একটু বাইরে গেলে ভালো লাগবে। বছরে একবার বা দুবার দীর্ঘ ভ্রমণ করুন।
বউ হয়তো আপনার সামনে অনেক কথা বলতে পারবে না। তাই আপনি এর বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। তার সাথে সবকিছু নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। যে তোমাকে বন্ধু ভাবতে পারে।
স্ত্রীর পছন্দ-অপছন্দও জানতে হবে। স্ত্রীকে বুঝতে দিন যে আপনি তার যত্ন নেন। আপনি যখন বাইরে থাকেন তখন আপনার স্ত্রীকে ঘন ঘন ফোন করুন। এই জিনিসগুলি সমস্ত মহিলাকে খুশি করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url