জাম খাওয়ার ১০ উপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জাম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানব। আপনি যদি
জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। জামে
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন জেনে নেই জাম
খাওয়ার দশটি উপকারিতা সম্পর্কে সম্পর্কে।
ভুমিকা
জাম এমন একটি ফল যার বিভিন্ন উপকারিতা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এটি প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, যা শরীরের
বিভিন্ন অংশের জন্য প্রয়োজনীয়। জামের খাদ্যমূল্য ও উপকারিতা। গ্রীষ্মকালীন ফলের
জাম বাজারে রয়েছে। ফলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, থায়ামিন, প্রোটিন,
রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, নিয়াসিন এবং আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এই
মৌসুমে নিয়মিত জাম খেতে পারেন। ওয়েবএমডি ওয়েবসাইটে জাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা
সম্পর্কে বলা হয়েছে।
জাম খাওয়ার ১০ উপকারিতা
1. জামে উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম থাকে। পটাশিয়াম নিয়মিত হার্টবিট করতে সাহায্য
করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি পটাশিয়াম স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপ
প্রতিরোধেও সহায়ক।
2. সিগারেটের ধোঁয়ায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে যা ফুসফুসের ক্ষতি করে। একটি
গবেষণায় বলা হয়েছে, জাম এই ক্ষতি অনেকাংশে পূরণ করতে সাহায্য করে।
3. ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল কোষের বিরুদ্ধে কাজ
করে। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া জাম থেকে সায়ানিডিন নামে এক ধরনের
নির্যাস পাওয়া যায়, যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
4. জামে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে।
5. নিয়মিত জাম খেলে ত্বক মসৃণ এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হবে। ফলের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।
6. জামে থাকা জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি কাশি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা
প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি হাঁপানির উপসর্গের চিকিৎসায়ও উপকারী।
7. নিয়মিত জাম খেলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
8. এই ফলটি দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ
রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
9. পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, জ্যাম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং কোষকে
ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
10. জামে আয়রন থাকে। ফলে নিয়মিত জাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায় এবং
রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়।
জাম খেলে কি রক্ত বাড়ে?
জাম খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ জাম রক্তে
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে রক্ত
চলাচলও ভালো হয়। রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত
পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছালে শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী সঠিক হয়।
অতিরিক্ত জাম খেলে কি ক্ষতি হয়?
জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে জাম খেলে ব্রণের সমস্যাও হতে
পারে। এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের
জাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
জাম কতদিন খাওয়া যায়?
জাম এবং জেলি খোলার পরে কতক্ষণ স্থায়ী হয়? ইউএসডিএ অনুসারে জ্যাম বা জেলির একটি
খোলা জার ফ্রিজে প্রায় ছয় মাস স্থায়ী হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি খাওয়া
একটি ভাল ধারণা "একবার খোলা হলে, জ্যাম এবং জেলিগুলি বাতাসের সংস্পর্শে আসবে, এতে
ছাঁচ এবং ব্যাকটেরিয়া স্পোর থাকবে।
স্ট্রবেরি জাম কি মোটা হয়?
সামান্য তিক্ত স্বাদের সাথে, স্ট্রবেরি জ্যামে ক্যালোরি কম থাকে, এটি তাদের জন্য
একটি আদর্শ পছন্দ করে তোলে যারা স্বাদ ত্যাগ না করে একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর
খাদ্য বজায় রাখতে চান।
শেষ কথাঃ জাম খাওয়ার ১০ উপকারিতা
বন্ধুরা আজকে আমরা জাম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সহ আরো অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করতে
পেরেছি এমনই নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাইট টাকে ফলো করে রাখুন। যদি আমাদের
পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ ধরে আমাদের
আর্টিকেলটি পাওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url